বসুন্ধরা এমডির জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি

UPDATE NEWS

20/recent/ticker-posts

বসুন্ধরা এমডির জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি

 


কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে আজ দিনের শুরুতে আদালতের দরজায় টাঙানো নোটিশে বলা হয়, বর্তমান লকডাউন এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অত্র কোর্ট আগাম জামিনের আবেদনপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করিবেন না বলে অত্র আদালত অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন। পরে  বেলা পৌনে ১১টার দিকে অন্য মামলার এক আইনজীবী আগাম জামিন আবেদন শুনানির জন্য মেনশন করেন। তখন আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের আরজির কারণে আমরা বুধবার বলেছিলাম, কিছু আগাম জামিন আবেদন শুনব। তবে কবে শুনব বলিনি। সুপ্রিম কোর্টের বিধি ও বর্তমান সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এ মুহূর্তে কোনো ধরনের আগাম জামিন শোনা যাবে না। ১৩ থেকে ২৭ পর্যন্ত আইটেম (আগাম জামিনের আবেদন) ভুলভাবে এসেছে।নির্দেশনা ছিল ভবিষ্যতে আসবে, কিন্তু আজ ভুলক্রমে এসেছে। সুতরাং আগাম জামিন আবেদনের শুনানি হবে না।

শুনানি না হওয়া প্রসঙ্গে সায়েম সোবহান আনভীরের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, শুনানিটা কেন হয়নি তা আদালত বলেনি। আদালত শুধু বলেছেন এখন হবে না। কবে হতে পারে সে ব্যপারেও আদালত কিচ্ছু বলেনি। অপরদিকে, বসুন্ধরা এমডির জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য যুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না সহ অর্ধশত মানবাধিকার আইনজীবী। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে দুর্বলের পক্ষে কথা বলার জন্য সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল আদালতে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু আদালত আগাম জামিন আবেদনের শুনানি হয়নি।  
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বুধবার জামিনের আবেদনটি করেন এডভোকেট মামুন চৌধুরী নামে এক আইনজীবী। এরপর এটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় উঠে।  এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে না। শুধু অতি জরুরি মামলার শুনানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত প্রাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য চারটি বেঞ্চ গঠন করা হলো।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং আইন ও আগাম জামিনের আবেদনপত্র ছাড়া অতি জরুরি সব ধরনের ফৌজদারি মোশন গ্রহণ করবেন, ফৌজদারী আপীল মঞ্জুরীর আবেদনপত্র এবং তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র; হাইকোর্ট বিভাগ ও উহার অধীনস্থ আদালত সমূহের অবমাননার অভিযোগ পত্র গ্রহন করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ