শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্টে ৯০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংসে তামিমই বেঁধে দিয়েছিলেন বড় রানের সুর। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন দ্রুত ২ উইকেট হারানোর চাপ।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে শনিবার খেলেন ৯২ রানের আরেকটি চমৎকার ইনিংস। চ্যালেঞ্জিং উইকেটে নিজের মতো করে খেলে গেছেন শট। নতুন বলে লঙ্কান পেসাররা চেষ্টা করেন পা তাক করে তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলার, দারুণ ব্যাটিংয়ে এর ফায়দা নেন তিনি। পাল্টা আক্রমণে চেপে বসতে দেননি স্পিনারদের।
তামিমের বিদায়ের পর আর কেবল একটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পায় দল। সেটি ভাঙার পর বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল। ৩৭ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, তামিমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংকে অবশ্যই উৎসাহ দেওয়া উচিত।
“এই ব্যাটিং লাইন আপে আমাদের ৪-৫ জন ক্রিকেটার আছে যারা এখনও ১০ টেস্ট খেলেনি। অভিজ্ঞতার বেশ ঘাটতি রয়েছে। তাই তামিমের মতো কাউকে ইতিবাচক খেলতে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের ওপর থেকে চাপ সরিয়ে নিতে উৎসাহিত করা উচিত। তরুণ খেলোয়াড়দের কেউ কেউ নিজেকে সহজে মেলে ধরতে পারে না এবং তেমন অভিপ্রায় দেখাতে পারে না।”
সাকিব না থাকায় ৫ বোলার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। দলে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান কেবল ৬ জন। তাই ব্যাটিংয়ে সবাইকে অবদান রাখার তাগিদ দিলেন কোচ।
“ছয় কিংবা সাত জন ব্যাটসম্যান আছে, তাদের সবারই অবদান রাখা এবং জুটি গড়া প্রয়োজন। তামিম যখন খুব ভালো খেলছে তখন মনোযোগ কেবল তার দিকেই থাকা উচিৎ নয়। আমাদের কিছু তরুণ খেলোয়াড় আছে, যাদের এগিয়ে আসা এবং বড় ইনিংস খেলা প্রয়োজন। ওরা যেন তামিম, মুশফিকের মানে পৌঁছাতে পারে এর জন্য ওদের সুযোগ দিতে হবে।”
0 মন্তব্যসমূহ
thanks' for your comments