তারাবিহ নামাজ আট রাকাত ও বিশ রাকাত: একটি পর্যালোচনা
তারাবিহ নামাজ আট রাকাত নাকি ২০ রাকাত এটি জানতে হলে প্রথমেই তারাবিহ নামাজ এবং তাহাজ্জুদ নামাজের মধ্যকার পার্থক্য জানাটা জরুরী। এজন্য নিচে একটি ছকের মাধ্যমে তাহাজ্জুদ এবং তারাবিহ নামাজের মধ্যকার পার্থক্য বর্ণনা করলাম এর মাধ্যমে তারাবিহ নামাজ এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সংজ্ঞাটাও আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৮ রাকাত তারাবিহর প্রেক্ষাপট
লা মাযহাবী আলেমরাও প্রথম প্রথম বিশ রাকাত তারাবীহ পড়ে গেছেন। সর্বপ্রথম ১২৮৪ হিজরি সালে ভারতের আকবরাবাদ থেকে এদের একজন আট রাকাত তারাবির ফতোয়া দেন। তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেই ফতোয়া টিকতে পারেনি।এরপর ১২৮৫ হিজরিতে পাঞ্জাব সীমান্তে মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন বাটালবী নামে এদের আরেক জন ফতোয়া দেন যে, আট রাকাত তারাবীহ পড়া সুন্নত। বিশ রাকাত পড়া বেদা'ত। বলা হয়, পাঞ্জাবের অনেক স্থানে তার মাধ্যমেই আট রাকাত তারাবী’র প্রচলন শুরু হয়।
তার ফতোয়ার ও তীব্র বিরোধিতা হয়। এমনকি তাদেরই একজন বিখ্যাত আলেম মাওলানা গোলাম রাসূল ঐ ফতোয়ার খন্ডনে ‘রিসালা তারাবী’ নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন। ১৯৯১ সালে সেটি প্রকাশিত হয়।
(দ্র. রাসায়েলে আহলে হাদীস, ২খ, ২৮ পৃ)।
হাফেজ আব্দুল্লাহ গাজীপুরী ও মাওলানা আব্দুর রহমান মোবারকপুরী সহ এদের আরো কিছু আলেমও একই ফতোয়া প্রচার করতে থাকেন।
আরবে ৮ রাকাত তারাবি
ভারতবর্ষের পরে এখানকার লা-মাযহাবী আলেমদের প্রভাবে আরবেও দু’একজন আটের ফতোয়া দিতে শুরু করেন।হারামাইন শরীফাইন তথা বাইতুল্লাহ শরীফ ও মসজিদে নববীতে বিশ রাকাত তারাবি অব্যাহত থাকলেও সর্বপ্রথম আরবে শায়খ নসীব রেফায়ী একটি পুস্তিকা লিখে আট রাকাতের ফতোয়াকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীও তার সমর্থন করেন।
ولم يشذ أحد منهم بمنعها غير هذه الشرذمة القليلة التي ظهرت في زماننا كالشيخ ناصر وإخوانه
অর্থাৎ “আমাদের যুগে আত্মপ্রকাশকারী নাসিরুদ্দীন (আলবানী) ও তার সমর্থকদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ছাড়া কেউই অনুরূপ ফতোয়া দিয়ে বিচ্ছিন্নতা অবলম্বন করেননি।” (দ্র, পৃ, ৬১)
এ পুস্তিকাটির খন্ডনে আলবানী সাহেব ‘তাসদীদুল ইসাবাহ’ নামে একটি পুস্তিকা রচনা করে (১৩৭৭ হিঃ) সালে প্রকাশ করেন। কিন্তু উক্ত গ্রন্থেও তিনি সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীগণের কোন একজনকেও দেখাতে পারেননি, যিনি আট রাকাত তারাবির কথা বলেছেন। এমনিভাবে এমন কোন ঐতিহাসিক মসজিদের নজিরও দেখাতে পারেননি যেখানে আট রাকাত তারাবি হতো।
আলবানী সাহেবের পুস্তিকাটির যথোপযুক্ত জবাব দিয়েছেন সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় দারুল ইফতার সাবেক গবেষক মুহাদ্দিস শায়খ ইসমাঈল আনসারী। তার কিতাবটির নাম- ‘
"তাসহীহু হাদীসি সালাতিত তারাবী ইশরীনা রাকআতান ওয়ার রাদ্দু আলাল আলবানী ফী তাযয়ীফিহী"!
একইভাবে সৌদি আরবের বিখ্যাত আলেম, মসজিদে নববীর প্রসিদ্ধ মুদাররিস ও মদীনা শরীফের সাবেক কাযী শায়খ আতিয়্যা সালিম ‘আত তারাবীহ আকছারু মিন আলফি আম’ নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন।সৌদির আরেকজন খ্যাতনামা আলেম, বহুগ্রন্থ প্রনেতা শায়খ মুহাম্মদ আলী সাবূনী সাহেবও এ বিষয়ে ‘আত তারাবী ইশরূনা রাকআতান’ নামে আরেকটি গ্রন্থ রচনা করেন।আর লা-মাযহাবী আলেম মোবারকপুরী সাহেবের খন্ডনে কলম ধরেছেন বিগত শতকের সেরা মুহাদ্দিস মাওলানা হাবীবুর রহমান আজমী (রহঃ)- মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, সুনানে সাঈদ ইবনে মানসূর, মুসনাদে হুমায়দী সহ বহু হাদীসগ্রন্থ সম্পাদনাপূর্বক।
যিনি পৃথিবীর মুখ দেখিয়েছেন এবং আরব বিশ্বের বড় বড় আলেম শায়খ মুসতাফা যারকা, শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায, শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবূ গুদ্দাহ, নাসিরুদ্দীন আলবানী প্রমুখ যার কাছ থেকে হাদীসের ইজাযত হাসিল করেছেন। ‘রাকআতে তারাবী’ নামে উর্দূ ভাষায় তিনি অত্যন্ত সারগর্ভ ও তথ্যসমৃদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেন। এটি সর্বপ্রথম ১৩৭৬ হিজরি সালে প্রকাশিত হয়।
একটি মজার বিষয়
লাভ মাযহাবী আলেমগণ তারাবিহ নামাযকে কোন ভাবেই ২০ রাকাত মানতে পারছে না। কিন্তু তারা না চাইলে কি হবে ২০ রাকাত তো সহীহ সনদে প্রমানিত। সালাফী বা লা মাযহাবী আলেমগণ তারাবিহ নামাজ সংক্রান্ত যেই হাদিস কে জাল, এবং সেই সনদের একজন বর্ণনা কারী কে মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করছেন, স্বয়ং বুখারী শরীফের প্রথম হাদিস শরীফ, মুছান্নাফে ইবনে আবি শায়বার একটা হাদীস যেখানে ২০ রাকাত তারাবীহর পক্ষে মুরসাল সনদ বর্ণিত আছে। এই হাদিস শরীফের একজন রাবী হচ্ছেন সেই হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যাকে তাওহীদ পাবলিকেশনস এর প্রকাশিত বুখারীর টিকায় এক সালাফী মিথ্যাবাদী বলেছে। এবং বলেছে তার বর্ণনা প্রত্যাখ্যাত, অর্থাৎ উনার কোন বর্ণনা গ্রহন করা যাবে না।
(তাওহীদ প্রকাশনির সম্পাদনায় বুখারী শরীফের ২য় খন্ড ৩৪৩ পৃষ্ঠা)
সেই তাওহীদ প্রকাশনির সম্পাদনায় বুখারী শরীফের ১ম খন্ড ২য় পৃষ্ঠা ১ নং হাদিস শরিফ এর সনদটা একটু পড়ুন। যারা আরবি পড়তে পারেন না তারা কাউকে দিয়ে পড়িয়ে নিন।বুখারী শরিফের ১ম হাদীস “ইন্নামা আ’মালু বিন্নিয়াত” এই মশহুর হাদিস শরিফের রাবী হচ্ছেন হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি। সালাফীরা তারাবিহ কে অস্বীকার করতে নফসের দ্বারা প্রতারিত হয়ে হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে মিথ্যাবাদী বলতেও কুন্ঠাবোধ করে নাই। অথচ ১ নং হাদিস শরিফে কিন্তু হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহি সালাফীদের কাছে চরম সত্যবাদীই আছেন। যেই তিনি অন্য কিতাবে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত বলে ফেললেন সাথে সাথে মিথ্যাবাদী হয়ে গেলেন। আল্লাহ পাক ক্ষমা করুন।
তাহলে সালাফী ও আহলে হাদিসের আলেমগণ কি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণিত ১নং হাদিস শরিফ কে জাল বলবে?
ভয়ানক বিষয় হচ্ছে এই অপবাদ দিতে গিয়ে সালাফী তাহকীক কারী হযরত ইবনে হাতীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিও মিথ্যারোপ করেছে। কারন হযরত ইবনে হাতীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার কিতাব জরাহ ওয়াত তাদীল কিতাবে হযরত ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ আল আনছারী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে মিথ্যাবাদী বলেন নাই, বরং সিক্বাহ ও চরম সত্যাবাদী হাদিস শরিফের শায়েখ বলেছেন। এখন মনে হয় বিষয়টি অনেকটা পরিস্কার হয়ে গেছে।
(তাওহীদ পাবলিকেশন থেকে সম্পাদিত বুখারী শরীফের ডাউনলোড লিংক ( http://bit.ly/1X4bZvv )
দুনিয়াব্যাপী তারাবিহর নামাজ ২০ রাকাত পড়া হয়েছে সেটা সালাফীরাই স্বীকার করেছে
স্বয়ং ইমাম বুখারী(রহঃ) ২০ রাকাত তারাবিহ পড়েছে।ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব থেকে ২০ রাকাত তারাবিহর দলীল। সালাফীরা বুখারী শরীফের একটা হাদীস শরিফকে অপব্যাখ্যা করে তাহাজ্জুদ নামাজকে তারাবিহ বলে অপপ্রচার করে। মজার বিষয় হচ্ছে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা কিতাব আছে যার নাম “কিতাব আল-কুনা (আরবিতেঃ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻜُﻨﻰ )” ( http://bit.ly/1r5sRUI ) । সেই কিতাবে ২য় খন্ডে ২৩৪ নম্বর হাদিস শরিফে তারাবিহর নামাজ বিশ রাকায়াত বলা হয়েছে।
উক্ত হাদিস শরিফ বর্ণিত আছে,
ﻦ ﺍﺑﻲ ﺍﻟﺨﺼﻴﺐ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺳﻮﻳﺪ ﺑﻦ ﻏﻔﻠۃ ﻳﺆﻣﻨﺎ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌ
অর্থঃ হযরত আবু খুসাইব রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন হযরত হযরত সুয়াইব বিন গাফফাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু সব সময় রমাদ্বান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবিহর নামাজ পড়াতেন।
(কিতাবুল কু’না -হাদীস ২৩৪, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী: হাদীস ৪২৯০)
তারাবির রাকায়াত সংখ্যার মিমাংসা সালাফীরাই দিয়ে দিয়েছে। তাদের লিখনীতে স্পষ্টই ফুটে উঠেছে খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, তাবেয়িন রহমতুল্লাহি আলাইহি, চার মাযহাবের ইমামগন, অন্যান্য ইমাম মুস্তাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিগন সহ মক্কা শরিফ মদীনা শরিফ সকল স্থানের সবার আমল ছিলো ২০ রাকায়াত তারাবিহ। “পিস পবলিকেশন” থেকে প্রকাশিত বইটার নাম হচ্ছে “কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্র্যাকটিক্যাল নামায” ।বইটা লিখেছে মুহম্মদ ইবনে ইব্রাহিম আততুয়াইজিরী। আর বাংলায় সম্পাদনা করেছে আব্দুর রাজ্জাক সালাফী । বইটার ডাউনলোড লিংক
এবার আসুন এ বইয়ের “তারাবিহর” অধ্যায়ে , ২২১ পৃষ্ঠায় একটা পরিত্যাজ্য রেওয়ায়েত দ্বারা যদিও প্রথমে ৮ রাকাত তারাবীহর কথা বলেছে। কিন্তু সেখানেই শেষ এরপর চুড়ান্ত ফয়সালা পেশ করেছে ২০ রাকায়াত প্রসঙ্গে। ২২১ পৃষ্ঠার হযরত ওমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার খিলাফতকালে ২০ রাকাত তারাবিহ ছিলো। হযরত ইবনুল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সায়িব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, শওকানী সহ অনেকের রেফারেন্স দ্বারা হযরত ওমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার সময় ২০ রাকাত তারাবিহর প্রমান পেশ করেছে।
২২২ পৃষ্ঠায় সালাফীদের ইমাম শাওকানীর উদৃতি দিয়ে মুয়াত্তা মালেক এর সূত্রে ২০ রাকায়াত বর্ণনা করেছে। মুছানান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর সূত্রে ২১ রাকাত। এবং ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সনদে ২০ রাকাতকে বর্ণনা করে এই মতকে গ্রহন করাই যুক্তিসংগত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত পৃষ্ঠার বায়হাকী শরীফের রেফারেন্স এ ২০ রাকাত তারাবিহ ও ৩ রাকাত বিতির নামাজ উল্লেখ করা হয়েছে। আর ইমাম তিরমীযি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রেফারেন্সে বর্ণনা করেছেন অধিকাংশ মদীনা শরিফ অধিবাসীদের আমল ছিলো ২০ রাকাত। ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন মক্কা শরিফ অধিবাসীদের ২০ রাকাত নামাজ পড়তে দেখেছেন। এরপর ইমাম কুদমাহ, ইমাম কুরতুবী, ইমাম নববী, কুস্তালানী, মনযুর ইবনে ইউনুছ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনার ২০ রাকাত তারাবীর পক্ষে বলেছেন। শুধু তাই নয় শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা কিতাবের রেফারেন্সে ২০ রাকাত তারাবীর দলীলই পেশ করা হয়েছে।
এর পরের প্যারায় হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের যুগের তারাবির নামাজ কত রাকাত ছিলো সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে এই সালাফী লেখক স্পষ্টই উল্লেখ করেছে, “অনেক সাহাবা এবং তাবেঈন ২০ রাকাত বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা ৮ রাকাত বর্ণনা করেন নাই।” পাঠক আপনারাই দেখুন সালাফীরা নিজেরাই বললো তাবেঈনদের যুগে ৮ রাকাতের কোন বর্ননা নেই।উক্ত কিতাবের ২২৩ পৃষ্ঠায় হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি ২০ রাকাত তারাবিহ আদায় করতেন সে কথা বলা হয়েছে । শুধু তাই নয় সালাফীদের অন্যতম গুরু ইবনে তাইমিয়াও ২০ রাকাত তারাবিহ পড়তো এ কথা দ্ব্যথ কণ্ঠে উল্লেখ করা আছে। এবং এই মতকে ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি সমর্থন করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর বেশকিছু তাবেয়ীদের নাম দেয়া হয়েছে যেমন- অমর ইবনে কায়েস, ইবনু তুরফুসানী, সাতির ইবনে সিকাল, সাওয়িদ ইবনে গাফফাল রহমতুল্লাহি আলাইহিমগন এবং হারিস আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকরা, আবুল বখতারা, আতা, আলী ইবনে বুশায়াহ প্রমুখ তাবেঈর রহমতুল্লাহি আলাইহিম গনও ২০ রাকাত তারাবিহর নামাজ পড়তেন।
পরবর্তীতে ৪ মাযহাবের মতামত দিতে গিয়ে উক্ত কিতাবে ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি , ইমাম অহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি ২০ রাকাত তারাবির সপক্ষে ছিলেন। ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহিও ২০ রাকাতের বর্ণনা করেছেন। যা আন্ডার লাইন করা আছে। এবং ইমাম সুফিয়ান সাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও এই ২০ রাকাত সমর্থন করতেন। যা তারা রেফারেন্স সহ উল্লেখ করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks' for your comments